কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্ভয়পুরে মাদকাসক্ত পিতার বিরুদ্ধে তার ৫ বছরের মেয়ে মারিয়া আক্তারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ১৩ অক্টোবর, রবিবার সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৯৩ নম্বর পিলারের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম (৪২)কে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাজুল ইসলাম তার মেয়েকে গাছের চারা রোপণের সময় কথা শোনাতে বলেছিলেন। তবে মারিয়া কথাটি শুনলে না, যা তার বাবার রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাজুল ইসলাম মারিয়াকে গাছের ঢাল নিয়ে আসতে বলেন। মেয়েটি কথা না শোনায় রেগে গিয়ে তিনি দা দিয়ে তার গলায় কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারিয়া মারা যায়। পরে, তাজুল ইসলাম মরদেহটি চিতাখলা নামক স্থানে মাটি চাপা দিয়ে বাড়িতে ফিরে যান।
শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয়রা মাইকিং করে তার খোঁজ নিতে শুরু করেন। তবে রোববার স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহজনকভাবে তাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাজুল ইসলামকে আটক করে এবং তার তথ্য অনুযায়ী মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, “এটি একটি নির্মম ঘটনা। আমরা যথাসম্ভব দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করব।”
নিহত মারিয়ার মা রেহানা আক্তার জানিয়েছেন, তিনি থানায় মামলা দায়ের করবেন। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা হতবাক এবং ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।