কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বৃহস্পতিবার বিকালে আবারও বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সাবেক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলম ভুইয়া গ্রুপের ওপর সাবেক সংসদ সদস্য গফুর ভূঁইয়া গ্রুপের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় নাঙ্গলকোট মধ্য বাজারে, যেখানে মোবাশ্বের আলম গ্রুপ একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এসময় তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়, যা থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী রক্তাক্তভাবে আহত হয়েছেন। মোবাশ্বের গ্রুপের নেতাকর্মীরা জানান, হামলায় অন্তত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন জসিমের ছেলে ওমর সাদী, ছাত্রদল নেতা নোমান, জিয়াউর রহমান, আকরাম ও ফারাবি।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি, মোবাশ্বের আলম গ্রুপের হামলায় সেলিম ভাইয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় মোবাশ্বের আলম ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রতিবাদ হিসেবে বৃহস্পতিবারের এই মিছিলটি বের করা হয়, এবং সেখানেই হামলা হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাঙ্গলকোট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন জসিম বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় গফুর ভূঁইয়া গ্রুপের লোকজন। তাদের নিক্ষেপিত ককটেল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে ফজলুল হক বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পুলিশ মোতায়েন করেছি, এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
মোবাশ্বের আলম ভুইয়া অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের মিছিলে আকস্মিকভাবে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা কেন হবে? এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি।”
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য গফুর ভূঁইয়া এই হামলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, “আমি ঐ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জনসভায় ছিলাম। এই হামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, “রাজনীতির মাঠে সংঘর্ষ ও মারামারি অবান্তর, যা আমাদের দলের ইমেজের জন্য ক্ষতিকর। আমরা এটি নিয়ে মহাসচিব বরাবর জানাবো।”
