২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসর পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে, কোন কোন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডিসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “তাদের কেউ সে সময় বিতর্কিত নির্বাচনের বিরোধিতা করেনি।”
তিনি আরও জানান, যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের নিচে তাদেরকে ওএসডি করা হচ্ছে, আর ২৫ বছরের বেশি চাকরির বয়স যাদের, তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়া, গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। এই ৩৩ জন বর্তমানে যুগ্মসচিব পদে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। এর আগেও, একই কারণে ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্ক
২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একচেটিয়াভাবে ২৩৪টি আসন লাভ করে, যেখানে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বিএনপি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের একচেটিয়াভাবে জয়ী হওয়ার অভিযোগ। ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জালভোট, কেন্দ্র দখল এবং ভোটে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগগুলো সামনে আসে। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসনে জয় লাভ করে।