অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃত ব্যক্তির নাম এ. কে. এম. জি. কিবরিয়া মজুমদার, তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন আহাম্মদ মুজমদারের পুত্র। ১২ অক্টোবর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত এলাকায় তাকে আটক করা হয়।
৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃকর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করার সময় তিনি আন্তর্জাতিক সীমারেখা সীমান্ত পিলার ২০৫০/৮-এস থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটিয়া নামক স্থানে প্রবেশের প্রাক্কালে ছিলেন। বিজিবির টহল দল সতর্কতার সঙ্গে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল, যখন তারা তাকে আটক করে।
আটকের পর কিবরিয়া মজুমদারের বিরুদ্ধে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায়, তিনি জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর অধীনে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। हालেই ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে তিনি ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের উদ্দেশ্যে সীমান্ত এলাকায় এসেছিলেন।
সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, বিশেষ করে যখন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা সরকারী কর্মচারীরা আইন লঙ্ঘন করেন। কিবরিয়া মজুমদারের মতো একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সীমান্ত পার হয়ে অন্য দেশে প্রবেশের চেষ্টা বিষয়টি সাধারণ মানুষের মনে শঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়, তখন এ ধরনের ঘটনা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
বিজিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃত কিবরিয়া মজুমদারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় সোপর্দ করা হবে, সেখানে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ধরনের ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মাঝে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতি অবিশ্বাসের ভাবনা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যখন সরকারী কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করেন, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনায় কিবরিয়া মজুমদারের নাম উঠে এসেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সরকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ প্রত্যাশিত নয়। এটি সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমাতে পারে, যা দেশের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়।