বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক প্রদান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পদকগুলো প্রদান করেন।
এ সময় একুশে পদক পাওয়া ব্যক্তিরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে স্মারক গ্রহণ করেন। বিশেষভাবে, নারী ফুটবল দলের সকল সদস্যকে একত্রে পদক প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী এবং সৃজনশীল। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের প্রজন্মের চেয়ে দুঃসাহসী। তারা নতুন পৃথিবীর সৃষ্টি করতে চায় এবং আত্মবিনাশী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তাদের স্বপ্নের নতুন সভ্যতা গড়তে চায়, যেখানে পৃথিবীর সকল সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে।”
একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন:
- চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)
- সঙ্গীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা
- আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন
- চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা
- সাংবাদিকতায় মাহ্ফুজ উল্লাহ (মরণোত্তর)
- গবেষণায় মঈদুল হাসান
- শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অভ্র কী-বোর্ডের চার সদস্য মেহদী হাসান খান, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফা
- সামাজিক সেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)
- ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) (মরণোত্তর)
- সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান
- সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম
- ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল
প্রসঙ্গত, ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর একুশে পদক প্রদান করা হয়, যা সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদান করে। ১৯৭৬ সাল থেকে, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে।
