যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের পর, তিনি প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সফরের সময়, দুই নেতার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের আগে, উভয় নেতা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা ছিলো না। মার্কিন ডিপ স্টেটেরও কোনও ভূমিকা ছিল না। এই বিষয়টি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। সুতরাং, আমি এই ইস্যুটি মোদির হাতেই ছেড়ে দিচ্ছি।”
এক সাংবাদিক বাংলাদেশে মার্কিন ডিপ স্টেটের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে, ট্রাম্প আরও জানান, এটি একটি ইস্যু যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সামলাচ্ছেন। এরপর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ নিয়ে উত্তর দিতে আহ্বান জানালেও, মোদি সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা শুরু করেন।
এদিকে, এই বৈঠকে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ট্রাম্প ভারতের কাছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রস্তাবও দেন এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোয়াইট হাউজ সফরটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথম সফর ছিল। হোয়াইট হাউজে পৌঁছানোর পর, তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়, যা দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।