কুমিল্লায় চলমান অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪১ জন গ্রেপ্তার হলেন। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা মহানগরী এবং জেলার নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ, মুরাদনগর ও তিতাস উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী সানাউল্লাহ হোসেন, হোমনা পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. জুলহাস, মুরাদনগরের গাজীপুর এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী আল-আমিন এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন।
এছাড়া, চৌদ্দগ্রামে আ’লীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বদিউল আলম পাটোয়ারী, আক্তার হোসেন, মফিজুর রহমান এবং আব্দুর রাজ্জাক। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এরা ৫ আগস্টের পূর্বে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল এবং পরবর্তীতে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, নাঙ্গলকোটে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সহ ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছেন কামরুল হাসান খন্দকার, সহিদুর রহমান ভূঁইয়া, মাস্টার মাহবুল হক এবং বাবুল মিয়া। নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক জানান, তাদেরও আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানিয়েছেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় নিয়মিত অভিযানের সাথে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে, এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।