বিখ্যাত আইরিশ লেখক স্যামুয়েল বেকিট তার ট্রেজিক-কমেডি ‘ওয়েটিং ফর গডট’ এ ‘এক্সিস্টেনশিয়াল ক্রাইসিস’ বা অস্তিত্বগত সমস্যার ধারণা তুলে ধরেছিলেন। এই প্লে’টি লেখা হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, যখন সবকিছু হারানো মানুষ অস্তিত্ব খুঁজতে বেরিয়েছিল। মানুষ যখন আশা হারিয়ে ফেলে, তখন বাঁচতে কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, এটি বেকিট তার কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন। ঠিক তেমনই অস্তিত্বের সংকটের মুখে রয়েছে ফিলিস্তিনিরা, যারা গাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
একের পর এক বোমা হামলা, রক্ত, লাশের গন্ধ এবং ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষে গাজা হয়ে উঠেছে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির স্থান। গাজার প্রবীণ বাসিন্দাদের একজন জানিয়েছেন, “আমি গাজায় যেখানেই যাই, অক্ষত বাড়ি বা স্থায়ী ভবন খুঁজতে থাকি। কিন্তু এখন পর্যন্ত, আমি কোনওটিই খুঁজে পাইনি।”
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও কিছু মানুষ বেইত লাহিয়া এলাকায় ফিরে গেছেন, যেখানে তাদের পুরনো বাড়ি ছিলো। তবে সেখানে নিকটতম পানি সরবরাহের স্থানগুলো অনেক দূরে, যা দীর্ঘ যাত্রার মধ্যে পড়ে। স্থানীয়দের মতে, পানি অপরিহার্য এবং এটি ছাড়া জীবন চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিরা চিন্তিত, তারা জানেন না কতোদিন তারা সন্তান-পরিবার নিয়ে গাজায় বেঁচে থাকতে পারবেন। তাদের শঙ্কা, যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, তবে ফিলিস্তিনির অস্তিত্বের প্রশ্নই উঠে আসবে। এই সংকটের মধ্যে মানবিক সহায়তা ও শান্তির প্রত্যাশা তাদের জন্য একমাত্র পথ।