১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে উদযাপিত হয়। এটি প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা প্রকাশের এক বিশেষ উপলক্ষ।
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস বহু পুরোনো। ধারণা করা হয়, তৃতীয় শতাব্দীতে রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের শাসনামলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক যাজক গোপনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতেন। এ কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী উদযাপন
এই দিনটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে উদযাপিত হয়। কোথাও এটি রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ, আবার কোথাও এটি বন্ধুদের বা পরিবারের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন হিসেবেও পালিত হয়।
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের উদযাপন
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের উদযাপন মূলত নবীন প্রজন্মের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। এদিন তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে ফুল, চকলেট, কার্ড ও উপহার দেয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে পার্ক, রেস্টুরেন্ট ও বিনোদনকেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
ভালোবাসার প্রকৃত মানেভা
লোবাসা শুধু একদিনের নয়; এটি সারাজীবনের এক অনুভূতি। ভালোবাসা দিবসের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করা, যা পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।